লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

শনিবার গভীর রাতে একটি দলের সঙ্গে ভারতীয় গরু পারাপারের জন্য গোতামারী ইউনিয়নের সীমান্তে যান সাদ্দাম।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2022, 12:38 PM
Updated : 27 Nov 2022, 12:38 PM

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নির্যাতনে তিনি মারা গেছেন।

রোববার ভোরে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া এলাকার ঘুটিয়ামঙ্গল গ্রামের কাশিয়ার মেলা সীমান্তের ৯০১ নম্বর মেইন পিলারের কাছ থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে স্বজনরা। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় জানিয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তৌহিদুল আলম জানান, “সীমান্তে নিহতের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।”

নিহত সাদ্দাম হোসেন (৩২) উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া এলাকার ঘুটিয়ামঙ্গল গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে।

সাদ্দামের সহকর্মীদের বরাত দিয়ে স্বজনরা জানান, শনিবার গভীর রাতে একটি দলের সঙ্গে ভারতীয় গরু পারাপারের জন্য গোতামারী ইউনিয়নের সীমান্তে যান সাদ্দাম। এ সময় ভারতীয় নৌহাটি কাসারপাড়া ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। এরপর তাকে মূমুর্ষূ অবস্থায় সীমান্তের ৯০১ নম্বর মেইন পিলারের কাছে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।

গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোনাব্বেরুল ইসলাম মোনা বলেন, “খবর পেয়ে সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।”

লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, “মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।”