অসংগতি পাওয়ায় ওই হিমাগারের এজিএম রেজাউল করিম লেবু ও আলু ব্যবসায়ী রাসেল নামে দুজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
Published : 10 Feb 2024, 08:58 AM
কয়েক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে ডিমের মত আলু আমদানিরও সুপারিশ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বুধবার সকালে রংপুর নগরীর হাজীরহাট চেয়ারম্যানের মোড় এলাকায় ‘আরমান কোল্ড স্টোরেজ’ নামে আলুর একটি হিমাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
এ সময় অসংগতি পাওয়ায় ওই হিমাগারের এজিএম রেজাউল করিম লেবু ও আলু ব্যবসায়ী রাসেল নামে দুজনকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
‘আরমান কোল্ড স্টোরেজ’ প্রসঙ্গে মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, “এখানে রাসেল নামে এক ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত আড়াই হাজার বস্তা ও স্থানীয় কৃষকদের সাড়ে ১২ হাজার বস্তাসহ মোট ১৫ হাজার বস্তা আলু নিজের নামে রেখেছেন। এভাবে অন্যের আলু নিজের নামে রেখে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন রাসেল।
“এছাড়া কোল্ড স্টোরেজ কর্তৃপক্ষ ব্যাংক থেকে ৪ কোটির বেশি টাকা ঋণ নিয়ে কৃষকদের দিয়েছেন। কী উদ্দেশ্যে তারা এ কাজ করেছেন তা খতিয়ে দেখতে এবং সিন্ডিকেট বিষয়ে তদন্তের জন্য রাসেল ও কোল্ড স্টোরেজের জিএম রেজাউল করিম লেবুর পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
আরমান কোল্ড স্টোরেজে এখনো পর্যাপ্ত আলু মজুত রয়েছে জানিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, “আর দেড় থেকে দুই মাস সময় আছে। এর মধ্যে আলু বের না করা হলে পচে যাবে। এরপরও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আলু বের না করে মজুতের দিকে ঝুঁকছেন।”
হিমাগার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে আলু কিনতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, “কোল্ড স্টোরেজে আলুর দাম ২৭ টাকা নির্ধারণ করে হয়েছে। তারপরও অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরেজের কর্মকর্তারা সিন্ডিকেট করে আলুর বাজার অস্থির করছেন। আমরা এসব সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছি। আরও ৩/৪ দিন দেখব। এর মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সরকারের কাছে ডিমের মতো আলু আমদানিরও সুপারিশ করব।”
এ সময় রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তরিকুল ইসলামসহ ভোক্তা ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]