মুক্তি পেলেন শাল্লার সেই ঝুমন দাস

গত ৩০ অগাস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি গ্রেপ্তার হন।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2022, 06:59 PM
Updated : 23 Nov 2022, 06:59 PM

ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার সেই যুবক ঝুমন দাস আপন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। 

বুধবার সন্ধ্যায় তিনি সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান বলে তার আইনজীবী জানান। 

ফেইসবুকে ‘উস্কানিমূলক পোস্ট দেবেন না’ শর্তে গত ১৩ নভেম্বর হাই কোর্ট তাকে জামিন দেয়। এর দশ দিন পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। 

কারাগারের ফটকে তাকে গ্রহণ করেন তার স্ত্রী সুইটি রানী দাস ও সন্তান ঈষাণ দাস সৌম্য। 

গত ৩০ অগাস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় শাল্লা থানা পুলিশ দ্বিতীয় বারের মতো তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। 

এর আগে ২০২১ সালের ১৬ মার্চ তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় শাল্লা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।

Also Read: ‘মসজিদ-মন্দির নিয়ে পোস্ট’, সেই ঝুমনকে ফের ডেকে নিল পুলিশ

ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রানী দাস জানান, মন্দিরের সামনে মসজিদের একটি দানবাক্স বেঁধে রাখা হয়েছিল কোনো এক স্থানে। এই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ছবিটি শেয়ার করেছিল ঝুমন দাস। এই পোস্টকে ধর্মীয় উস্কানি হয়েছে মর্মে অভিযোগ দিয়ে তাকে ৩০ অগাস্ট জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে। 

ঝুমন দাসের স্থানীয় আইনজীবী পঙ্কজ তালুকদার ২০২১ সনে পুলিশ ও গ্রামবাসীর দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০২১ সনের ১৫ মার্চ হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হক দিরাইয়ে সমাবেশ করে সাম্প্রদায়িক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলেন ঝুমন দাস। 

ওই ঘটনায় ১৬ মার্চ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দিয়েছিল শাল্লা থানা পুলিশ।