ফরিদপুরে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার মাঠ সালথা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ফরিদপুর প্রতিনিধি
Published : 30 Sept 2022, 04:47 PM
Updated : 30 Sept 2022, 04:47 PM

ফরিদপুরের সালথায় রাস্তায় কাজ করার সময় এক ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক জানান, বৃহস্পতিবার মাঠ সালথা কলেজ রোড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  

এরা হলেন সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমামুল খান (২৫), আরেক সহ-সভাপতি আবু মুসা প্রিন্স (২২) ও ছাত্রলীগ কর্মী  জসীম মোল্যা (২০)। তাদের সবার বাড়ি উপজেলা সদরের মাঠ সালথায়। 

ওই ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।   

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সালথা উপজেলা সদরের মাঠ সালথা কলেজ রোড এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং কাজ করছে ‘তাসা কনস্ট্রাকশন’ নামে ফরিদপুরের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই কাজের মালামালের ট্রলি ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ৮-১০ জন যুবক। দাবি করা চাঁদা না দেওয়ায় তারা ট্রলির ড্রাইভারকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।  

তাসা কনস্ট্রাকশনের সত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, ওই এলাকার কয়েকজন যুবক কক্সবাজারে যাওয়ার খরচ চেয়ে রাস্তার মালামালের ট্রলি গাড়ি আটকিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। 

এর আগে তাদের পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন দাবি করে এ ঠিকাদার বলেন, পরে চাঁদাদাবির বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। 

তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে গ্রেপ্তার আবু মুসার ভাই ইলিয়াস মোল্যা বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় নিম্নমানের কাজ করছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার ভাইসহ স্থানীয় কয়েকজন ছেলেপেলে প্রতিবাদ করেন। তাদের কাছে চাঁদাদাবির বিষয়টি ভিত্তিহীন।” 

সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রায়মোহন রায় বলেন, ছাত্রলীগ ভালো কাজ করলে সুনাম হয়। আবার খারাপ কাজের সাথে জড়িত হলে দুর্নাম পুরো সংগঠনের উপর পড়ে। 

তিনি বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, সেখানকার একটি পক্ষ বলছে রাস্তার নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে কাজের বাধা দেওয়া হয়েছে। আবার আরেকটি পক্ষ বলছে ট্রলি থামিয়ে তারা চাঁদা দাবি করেছে। 

“তাই আমরা সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে সাংগঠনিকভাবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় একটি এজাহার দায়েরের পর তিন যুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কি-না তা আমার জানা নেই। গ্রেপ্তারদের ফরিদপুরের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।