প্রকল্পে থাকা খাগড়াছড়ি পৌরসভার আওতাধীন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্পও উদ্বোধন করা হবে।
Published : 13 Nov 2023, 09:56 PM
খাগড়াছড়িতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে রামগড় স্থলবন্দর ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্প।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রকল্প দুটি উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
একই দিনে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত বিভিন্ন অবকাঠামো ও উন্নয়ন পরিষেবার আওতাধীন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন জানিয়ে ডিসি বলেন, “আমাদের কাছে চিঠি এসেছে, প্রধানমন্ত্রী ১৪ নভেম্বর ভার্চুয়ালি রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের সাথে সাথে বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।”
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃক বহিঃগমনাগমন যাত্রীসেবা দেওয়ার জন্য রামগড় স্থলবন্দরে যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
রামগড় স্থলবন্দরের ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন বলেন, “যাত্রী পারাপার করার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ইমিগ্রেশন ভবনের ভেতরে কাফেটেরিয়া, ইমিগ্রেশন পুলিশ, বিজিবি ব্যাংক এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই দেশের সম্মতিতে যাত্রী পারাপার শুরু হবে। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা।”
এছাড়া পৌর শহরের শালবন ওয়ার্ডেও রসুলপুর প্রকল্পের আওতায় ১৫টি আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব আবাসন প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। প্রকল্পে মোট ভবন ১৫টি। দুই তলাবিশিষ্ট প্রতি ভবনে চারটি করে পরিবার থাকতে পারবেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি ডাইনিং রুম, রান্নাঘর ও শৌচাগার। আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জন্য একটি পুকুরও খনন করা হয়েছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এতে আমরা গর্ববোধ করছি। ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পে কক্ষ বরাদ্দ চেয়ে আমাদের কাছে দুই শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে। যাচাই-বাছাই করে ৬০ পরিবারের হাতে চাবি তুলে দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের দলিলও তুলে দেওয়া হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, “প্রতিবন্ধী, বিধবা, অসহায় এবং সত্যিইকার অর্থে যাদের আবাসন প্রয়োজন তারাই এখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবেন।”
রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা করা হবে না বলে দাবি মেয়রের।