“ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Published : 15 Mar 2024, 07:25 PM
লালমনিরহাটে পাঁচ সাংবাদিককে কার্যালয়ে আটকে রেখে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকারকে বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার পর বৃহস্পতিবারই তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এরপর তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।”
এ সংক্রান্ত আদেশ ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে পাঁচ সাংবাদিককে আটকে রাখেন এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকার। প্রায় ৪০ মিনিট পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন গিয়ে কার্যালয়ের গেইটের তালা খুলে তাদের বের করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ে তিনজন অফিস সহকারী ভূমি সংক্রান্ত শুনানি করছিলেন। সেখানে সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন না।
মাইটিভি ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সাংবাদিক মাহফুজ সাজু ওই শুনানির ভিডিও ধারণ করছিলেন।
এ সময় কার্যালয়ের কর্মীরা সহকারী কমিশনারকে ডেকে আনেন। আব্দুল্লাহ আল নোমান সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক মাহফুজ সাজুকে আটকে রাখার নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে জেলা প্রেস ক্লাব থেকে সাংবাদিক নিয়ন দুলাল, এস কে সাহেদ, ফারুক আহমেদ ও কাওছার আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরও আটকে রাখা হয়।
ঘটনার বর্ণনায় সাংবাদিক মাহফুজ সাজু বলেন, “সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে সেবা নিতে আসা লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে গেলে এসিল্যান্ড আমাকে অফিসে আটকে রাখেন। পরে সহকর্মীদের ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এসিল্যান্ড তাদেরও অফিসে আটকে রাখেন।”
এসিল্যান্ড সাংবাদিকদের সম্পর্কে ‘খুবই অপ্রীতিকর’ মন্তব্য করেন অভিযোগ করে সাজু বলেন, “তিনি আমাদের জেলে পাঠানোর হুমকিও দিয়েছেন।”
আব্দুল্লাহ আল নোমানকে বদলির প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক মাহফুজ সাজু বলেন, “সাংবাদিকদের আটকে রেখে জেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে, অপরাধ তিনি করেছেন তার শাস্তি বদলি হতে পারে না।
“তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মত আইনের অপপ্রয়োগ করতে কেউ সাহস না পায়।”
লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, “বদলি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। আমরা এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। এ দাবি পূরণ না হলে আমরা আবার আন্দোলনে যাব।”
পুরনো খবর...
সাংবাদিকদের জেলে দেওয়ার ‘হুমকি’, এসি ল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ