লিটন বলেন, “ভারতের মুর্শিবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই।”
Published : 16 Jun 2023, 01:36 AM
জয়ে ভোটের ব্যবধান যত বেশি হবে রাজশাহী নগরের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দও তত বেশি আসবে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীর ১২ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ শেষে পথসভায় লিটন এ কথা বলেন।
তিনি ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বড়কুঠি ক্যাম্পে প্রথম পথসভায় বক্তব্য রাখেন। পরে নগরীর মন্নুজান স্কুলের সামনে ও আলুপট্টি নদীর ধারে পৃথক পথসভায় বক্তব্য দেন।
পথসভায় উপস্থিত জনসাধারণকে ইভিএম মেশিনে ভোট প্রদানের পদ্ধতিও দেখিয়ে দেন তিনি।
আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন।
রাজশাহীর উন্নয়ন চলমান রাখতে ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে অনেক গরম। তাই সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে।
“ভোটকেন্দ্রে আমাদের লোক, পোলিং এজেন্ট, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে মাথা উঁচু করে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন।”
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, রাজশাহীতে এবার দরকার কর্মসংস্থান। ইতোমধ্যে রাজশাহীতে বিসিক শিল্পনগরী-২ ও চামড়া শিল্প পার্ক অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিসিক-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। বেলপুকুরে চামড়া শিল্প পার্ক হতে যাচ্ছে। এই দুই জায়গায় ঢাকা থেকে শিল্পপতিদের নিয়ে এসে শতাধিক শিল্পকারখানা করতে পারলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
তিনি বলেন, “আমি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে হলেও বিত্তশালীদের রাজশাহীতে বিনিয়োগের জন্য নিয়ে আসব। আমি আপনার সন্তানদের কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করুন। যত বেশি ব্যবধানে আমাকে বিজয়ী করবেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ততবেশি অর্থ বরাদ্দ এনে উন্নয়ন করতে পারব।”
লিটন আরও বলেন, “পদ্মা নদীকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করতে চাই। ভারতের মুর্শিবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু করতে চাই। এটি চালু হলে ভারত থেকে পাথর, ফ্লাই অ্যাশসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আনা যাবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করা যাবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অনেক কর্মসংস্থান হবে।”
রাজশাহী শহরে তরুণ-তরুণীদের জন্য ১০টি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেখানে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে বলে প্রতিশ্রুত দেন লিটন।
তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণ নিয়ে তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। সেই কাজের ক্ষেত্রও আমরা দেখিয়ে দেব।”
পথসভায় অন্যদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, মহানগর জাসদের সভাপতি আবদুল্লাহ-আল-মাসুদ শিবলী, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, বোয়ালিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালু ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।