সিরাজগঞ্জের সেই মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর পেট থেকে আরও আটটি কলম বের করা হয়েছে।
সোমবার দ্বিতীয় দফায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে ওই যুবকের পেট থেকে কলমগুলো বের করেন সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের একদল চিকিৎসক।
এর আগে বৃহস্পতিবার একই প্রক্রিয়ায় ওই রোগীর পেট থেকে ১৫টি কলম বের করা হয়েছিল।
এ নিয়ে তার পেট থেকে বের করা মোট কলমের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩।
গত ১০ বছরে ওই রোগী পর্যায়ক্রমে প্লাস্টিকের তৈরি কলমগুলো খেয়েছিলেন, যা অত্যাধুনিক এন্ডোস্কপির ভিতর দিয়ে ল্যাপারোস্কপিক মেশিন ঢুকিয়ে অতি সর্তকতার সঙ্গে গলা দিয়ে বের করে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন (৩৫) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনী আটারদাগ গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে।
হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান জানান, “পেটে ব্যাথা নিয়ে ওই রোগী প্রথমে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর কনসালট্যান্ট হিসেবে রোগীকে আমার কাছে পাঠানো হয়। আমরা পরীক্ষা করে তার পাকস্থলীতে কলম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হই।
“এরপর অপারেশন ছাড়া এন্ডোস্কপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাজটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।”
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবার রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস সচল রেখে এবং কোনো রকম রক্তক্ষরণ ছাড়াই প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় তার পাকস্থলী থেকে ১৫টি কলম বের করা হয় বলে এই চিকিৎসক জানান।
পেটে আরও কলম থাকায় তাকে হাসপাতালে রেখে চার দিন পর সোমবার দ্বিতীয় দফায় একই প্রক্রিয়ায় আরও ৮টি কলম বের করা হয়েছে।
রোগীকে এখনও হাসপাতালে রেখে মানসিক ও শারীরিক রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে; তবে এখন তিনি শঙ্কামুক্ত বলে তিনি জানান।