মধ্যরাত থেকে মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৮৯ হাজার জেলের। কিন্তু জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 03:36 PM
Updated : 28 Feb 2023, 03:36 PM

ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় মধ্যরাত থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই দুই মাসের জন্য এই দুই নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে বলে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

এর মধ্যে ইলিশা থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এবং ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্লাহ বলেন, “মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর ইলিশ রক্ষায় আমরা জেলেদের নিয়ে সচেতনতা সভা করেছি, প্রচার করেছি যাতে জেলেরা মাছ শিকারে না যায়। তারপরেও যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের চেষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিদিন ১৪টি টিহল টিম নদীতে অভিযানে থাকবে।“

তিনি আরও বলেন, ইলিশ রক্ষায় আমাদের কঠোর ও শক্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা জারি করায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে জেলার দুই লাখের অধিক জেলে। মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল এসব জেলে নদীতে যেতে না পারায় চরম সংকটের মধ্যে পড়েছেন। মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানা না থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থানেও যেতে পারছেন না জেলেরা। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে জেলেদের।

যদিও নিষেধাজ্ঞাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের প্রত্যেকের জন্য ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে কিন্তু সব জেলে পাবেন না। কারণ, সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৮৯ হাজার জেলের। কিন্তু জেলায় নিবন্ধিত জেলে রয়েছে এক লাখ ৫৮ হাজার।

দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় জীবিকা সংকটে পড়েছেন জেলেরা। নৌকা জাল তীরে উঠিয়ে ঘাটগুলো এখন সুনসান নিরবতায় রয়েছে।

ভোলার খাল মাছ ঘাট এলাকার আনোয়ার, কামরুল ও নকিব জানান, তারা গত মৌসুমেরও ভাল মাছ পাননি। এখন নদীতে না যেতে পারায় তাদের পরিবারে সংকট আসবে।

অনিবন্ধিত অনেক জেলে জানান, একদিকে আয়-রোজগার বন্ধ; অন্যদিকে ঋণ আর দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন তারা। তাই দ্রুত চাল দেওয়ার দাবি জানান তারা।