কুড়িগ্রামে পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সেতু, চলাচলে ভোগান্তি

এতে বিঘ্নিত হচ্ছে আশপাশের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2023, 04:05 PM
Updated : 19 Oct 2023, 04:05 PM

কুড়িগ্রামের উলিপুরে সেতু ভেঙে পড়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন নদীর দুই পাড়ের মানুষ।

উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত গিদারী নদীর তীব্র স্রোতে নিচের মাটি সরে গিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সেতু ধসের এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৬৯ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। এরপর থেকে এর কোনো সংস্কার হয়নি। এই সেতু দিয়ে পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া, চাকলিরপাড়, জটিয়াপাড়াসহ আশপাশের ছয়টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করত। গত মার্চে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গিদারী নদীর খননকাজ শুরু করে। খনন এখনও চলমান। এতে নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায়।

পাউবোর নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবদুল আজীজ জানান, ওই সেতু প্রায় অর্ধশত বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। খননের জন্য উজানে অতিরিক্ত পানি জমায় চাপ সহ্য করতে না পেরে সেতুতে ভাঙন দেখা দেয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ২০০ জিও ব্যাগ ব্যবহার করে পানির স্রোত কমানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু কোনো ফল হয়নি।  

বৃহস্পতিবার সকালে সেতু ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবদুল মোতালেব ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. জমির উদ্দিন।

জমির উদ্দিন জানান, স্বাধীনতার আগে নির্মাণ করা সেতুটি সংস্কারের অভাবে ধসে পড়েছে।  

বর্তমানে এলাকাবাসীর পারাপারের জন্য বাঁশ-কাঠের অস্থায়ী সেতু তৈরির পরিকল্পনা হচ্ছে জানিয়ে এই ইউপি সদস্য বলেন, সেটি হতেও প্রায় এক সপ্তাহ লাগবে।

আমভদ্রপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক ইজিবাইকচালক বলেন, “সেতুটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগের খুব অসুবিধা হয়ে গেল। ইজিবাইক নিয়ে শহরে যাব, সে উপায় আর রইলো না। এখন ৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হবে।”

উলিপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহমুদুর রহমান জানান, তীব্র স্রোতে মাঝের পিলার ধসে গেলে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সেতুর দুই পাশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা সাইন বোর্ড টাঙানো হয়েছিল।

“বৃহস্পতিবার ভোরে সেতুটি ভেঙে যায় বলে শুনেছি। ইতোমধ্যে উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ারকে সেতুটির জন্য ওপরে প্রস্তাবনা পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। পথচারী চলাচলের জন্য গিদারী নদীর ওপরে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করার জন্য বরাদ্দ দিতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।”