এবার মুকুল এসেছে হয়েছে ৭৩ ভাগ, আগের বছর যা ছিল ৯৭ ভাগ।
Published : 11 Mar 2024, 08:33 PM
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আম গাছে মুকুল তুলনামূলক কম আসার তথ্য জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কর্মকর্তারা বলছেন, এবার শীত দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম জানান, এবার মুকুল এসেছে হয়েছে ৭৩ ভাগ, আগের বছর যা ছিল ৯৭ ভাগ।
এবার বাগানের আয়তন কিছুটা বেড়েছে। গত বছর ৩৭ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়। এবার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর।
সরকারি হিসেবে গত মৌসুমে আম উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৫ টন।
কোনো কোনো এলাকায় মুকুল আসার হার সামগ্রিক এই হিসাবের চেয়ে কম। সদর উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের মাসুম উজ জামান চৌধুরীর ১০ বিঘার বাগানে মুকুল এসেছে ৫০ ভাগ।
আমনূরা গ্রামে ৫ বিঘা জমিতে আম্রপালি ও কাটিমন গাছে প্রায় শত ভাগ মুকুল আসায় তিনি বেশ খুশি।
শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর গ্রামের মোহাম্মদ কাদির জানান, তার নিজের ও লিজ নেওয়া প্রায় ২৫ বিঘা বাগানে আড়াইশ গাছে মুকুল এসেছে প্রায় ৭৫ ভাগ। গত বছর মুকুল হয়েছিল ৯৫ ভাগেরও বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, “আম গাছে মুকুল আসার সময় জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত। কিন্তু এবার আরো বেশি দিন শীতকাল ছিল। ফেব্রুয়ারির ৫ ও ৬ তারিখ বৃষ্টি হওয়ায় এবার মার্চের প্রথম দিকেও কিছু গাছে মুকুল আসে।”
তবে মুকুল কম এলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সাড়ে ৪ লাখ টন আম উৎপাদনের আশা করছেন তিনি।