যশোরের বেনাপোলে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত যাওয়ার পথে তিন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীর পায়ুপথ লুকানো ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে সোনার বারসহ তাদের আটক করা হয় বলে জানান বেনাপোল কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক শায়েখ আরেফীন জাহেদী।
২ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের বারগুলোর বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৭৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা।
আটকরা হলেন- ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার বানেশ্বরদী গ্রামের মো. হাবীব (৩৭); গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর থানার লোহাচূড়া গ্রামের মহিউদ্দিন (৩৬) ও একই এলাকার রনি আহমেদ (৪৪)।
শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা শায়েখ আরেফীন জাহেদী জানান, বেনাপোল দিয়ে সোনার একটি বড় চালান ভারতে পাচার হওয়ার গোপন সংবাদে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও কাস্টমসে নজরদারি বাড়ানো হয়।
এ সময় ওই তিন পাসপোর্টধারী যাত্রী প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল পেরিয়ে ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করলে গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে তাদের কাছে সোনা থাকার কথা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে। পরে ওষুধ সেবন করিয়ে তাদের পায়ুপথ থেকে সোনাগুলো উদ্ধার করা হয়।
এদের মধ্যে দুজনের কাছে ছয়টি করে ১২টি, অপরজনের কাছে আটটি সোনার বার পাওয়া যায়।
বারগুলো সরকারি ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে বলে জানান আরেফিন জাহেদী।