কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

পারিবারিক কলহের জেরে হাফিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2023, 11:51 AM
Updated : 19 March 2023, 11:51 AM

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ভাসুরের সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

রোববার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এক আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার চাঁদগ্রামের বাসিন্দা সোনা উল্লাহর ছেলে আল্লেক আলী (৪৭) এবং মনা মিয়া (৫২)। আল্লেক পলাতক আছেন।

মামলার বরাতে আইনজীবী অনুপ জানান, ২০০৬ সালের ৩০ জুন সকালে মিরপুর উপজেলার লক্ষীধরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মসলেম উদ্দিনের মেয়ে হাফিজা খাতুন (২০) তার স্বামী বাড়ির কাছে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

“পরে পুকুর থেকে হাফিজার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা হয় বলে উল্লেখ করা হয়।”

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা আসমত আলী হাফিজার স্বামীসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক আবু জাফর ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিল নিহতের ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আইনজীবী বলেন, “পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে হাফিজাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখেন আসামিরা।

“অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আল্লেক আলীকে আমৃত্যু কারাভোগসহ ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং মনা মিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ডসহ ২০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাবাসের আদেশ দিয়েছে আদালত।”

আসামিরা উচ্চ আদালতে যাওয়ায় মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয় বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।