খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ভিড় করেন।
Published : 02 Sep 2024, 12:12 AM
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী।
শনিবার বিকালে উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি লাল মিয়ার বাড়িতে মেয়েটি অবস্থান নেন বলে ওই ইউপির চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান জানান।
খবর পেয়ে উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করেন। বিবাহিত লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বারান্দার লোহার গেইটে তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান করছিলেন।
কলেজছাত্রীর দাবি, সাত বছর আগে লাল মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রলোভনে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। কলেজছাত্রী বিয়ের তাগিদ দিলে নানা অজুহাতে এড়িয়ে যান লাল মিয়া। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও পরে কথা রাখেননি।
গত ২৩ জুলাই বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। সেসময় লাল মিয়ার স্ত্রী মারধর করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
গত শুক্রবার বিকালে লাল মিয়া ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে পাশের আজগানা ইউনিয়নের চিতেশ্বরী গ্রামে মেয়েটির ফুপুর বাড়িতে যান।
কলেজছাত্রী বলেন, সেখানে বিয়ের দাবি তুললে লাল মিয়া তার স্ত্রী ও আত্মীয়দের খবর দিয়ে ওই বাড়িতে নেন। তারা গিয়ে শনিবার বাঁশতৈল পরিষদে বিয়ে পড়ানোর কথা বলে চলে আসেন।
শনিবার সকালে বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদে এ বিষয়ে সালিশ বসে। সেখানে হেলাল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি লাল মিয়াকে কৌশলে পালাতে সহায়তা করেন।
এরপর বিকালে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন। বাড়ির উঠানে বসে রাত্রি পার করেন।
লাল মিয়ার স্ত্রী তার স্বামীর সঙ্গে বিয়ে না করিয়ে অন্যভাবে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর কথা বলেন।
এ বিষয়ে লাল মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কলেজছাত্রীটি বলেন, “লাল মিয়ার বাড়ির উঠানে বসে রাত্রি যাপন করেছি; মশার কামড় খেয়েছি। স্থানীয় লোকজন আমার এই অবস্থা দেখতে আসে। কেউ সমাধান করতে আসে নাই। আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই।”
ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন, “সালিশে বিয়ে করতে রাজি হলেও পারিবারিক চাপে এড়িয়ে চলছেন লাল মিয়া। শনিবার সকালেও ইউপি কার্যালয়ে তাদের ব্যাপারে সালিশ বসে। সালিশ থেকে লাল মিয়া কৌশলে পালিয়েছে।”