‘মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণের’ তিন দিন পর এক যুবককে পাবনা থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় অপহরণ চক্রের সদস্য সন্দেহে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার র্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার মেজর এম. রিফাত-বিন-আসাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উদ্ধার হওয়া ইউনুস আলী মিঠু (২৫) পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা চক্রপাড়ার আব্দুল মান্নান খানের ছেলে।
গ্রেপ্তাররা হলেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সুমন (২২), ধোপাদহ গ্রামের প্রয়াত ময়েন উদ্দিনের ছেলে রিফাত হোসেন (১৮), পানিসাইল গ্রামের আক্কাছ প্রামানিকের ছেলে আব্দুল্লাহ প্রামানিক (১৮), বেড়া উপজেলার সানিলা শাহপাড়ার আনিসুর রহমানের ছেলে শিমুল হোসেন (১৯) ও সানিলা সিএন্ডবির বাচ্চু খানের ছেলে কাওসার খান কুটি (২১)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউনুস আলী মিঠু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ১১ অগাস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর বাস টার্মিনালে পৌঁছেন তিনি। এরপর মোবাইলে তার বাবাকে জানান সিএনজি অটোকিশায় তিনি বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন।
এরপর রাত ১১টার দিকে মিঠুর মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় কেউ তার বাবাকে বলে মিঠু তাদের হেফাজতে এবং ছেলেকে জীবিত পেতে হলে দ্রুত নগদ একাউন্টে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে হবে।
এরপর ওই রাতেই দু-দফায় নগদে ২১ হাজার টাকা পাঠানো হয়। টাকা পাওয়ার পরই ‘চক্রটি’ মোবাইল বন্ধ করে দেয়।
এ অবস্থায় ১২ অগাস্ট মিঠুর বাবা বিষয়টি র্যাবকে জানান বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, রোববার [১৪ অগাস্ট] রাতে র্যাব-১২-এর একটি দল পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ‘অপহৃত’ মিঠুকে উদ্ধার এবং এতে জড়িত ৫জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় ‘অপহরণের কাজে ব্যবহৃত’ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ছয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় মামলা হয়েছে এবং মিঠু ও গ্রেপ্তারদের সোমবার সকালে শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।