পৌর প্রশাসক বলেন, যেসব রিকশার লাইসেন্স নেই তাদের ৩০০ টাকা এবং যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি তাদের ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
Published : 01 Oct 2024, 11:34 PM
যানবাহন ধরপাকড় ও জরিমানার প্রতিবাদে শেরপুরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রিকশা, ইজিবাইক ও ভ্যানচালকরা।
মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর শহরের বটতলা চার রাস্তা মোড় ও পৌরসভা গেইটের সামনে অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন তারা।
এ কারণে ওই পথে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ও বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগী ও সাধারণ মানুষের।
রিকশা চালকদের অভিযোগ, লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স করার সময় সুযোগ না দিয়েই হঠাৎ করে রিকশা ধরা শুরু করেছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে সব সময় বিদ্যুৎ থাকে না, ফলে অনেকসময় ভাল করে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চার্জ করা যায় না। ফলে উপার্জন কমে যাচ্ছে চালকদের।
এই অবস্থায় রিকশা ধরে ধরে জরিমানা করা হচ্ছে। এতে চালকদের সামান্য উপার্জনের টাকাও চলে যাচ্ছে; তারা বিপদের মধ্যে পড়ছেন।
এই আন্দোলনে পায়েচালিত রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালকরা অংশ নিচ্ছেন।
শেরপুর রিকশা ও অটোরিকশা ভ্যানচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল আলম বলেন, “আমরা চাঁদা দিয়ে রিকশা চালাতে চাই না। আমাদেরকে মেরে ফেলুন অথবা সহজেই যেন পৌরসভায় রিকশা চালাতে পারি সেই ব্যবস্থা করে দিন। আমরা ইজিবাইক চালিয়ে জীবনযাপন করি।
“আমাদের রিকশার লাইসেন্স ১৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০০ টাকা করা হয়েছে। এটা আমাদের প্রতি জুলুম করা হয়েছে। পৌরসভাকে অনুরোধ করেছি, দরখাস্ত দিয়েছি ইজিবাইকের লাইসেন্সের টাকা কমানোর জন্য কিন্তু তারা কমায় নাই।
তিনি বলেন, “পৌরসভা আমাদেরকে কথা দিয়েছিল যারা স্বেচ্ছায় লাইসেন্স করতে চায় তাদেরকে লাইসেন্স দেবে। কোনো প্রকার জোর-জুলুম কিংবা কোনো রিকশা আটক করবে না। কিন্তু পৌরসভা তাদের কথা রাখেনি। এজন্য আমরা আজকে আন্দোলনে মাঠে নেমেছি এবং রাস্তা অবরোধ করেছি।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক তোফায়েল আহমেদ বলেন, “লাইসেন্স ছাড়া কোনো রিকশা চলাচল করতে পারবে না। চালকদের কাছ থেকে কোনো চাঁদা নেওয়া হয়নি। যেসব রিকশার লাইসেন্স নেই তাদের ৩০০ টাকা এবং যাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি তাদের ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সেটা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।”