কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া একজনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) জাকির হোসেন জানান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে মো. সুমন মিয়া (২৬), আলম মিয়ার ছেলে মো. শিহাব মিয়া (২০) এবং নয়কামতা গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৮)।
সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া আবুল বাশার (৩৮) একই উপজেলার আবুল কাশেমের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় শিহাব মিয়া অনুপস্থিত ছিলেন।
নিহত চালক মো. নাজমুল হাসান (১৪) চান্দিনা উপজেলার মধ্যমুলা গ্রামের মো. আবদুর রবের ছেলে।
মামলার বরাতে পিপি জাকির হোসেন জানান, ২০১৪ সালের ১৭ অক্টোবর বিকালে নাজমুল অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন তারা পরিবার জানতে পারেন, নাজমুলকে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নাজমুলের বাবা বাদী হয়ে সুমন মিয়াসহ অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা করেন বলে জানান তিনি।
পরে পুলিশ সুমন মিয়া ও আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান পিপি।
পিপি জাকির হোসেন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল সুমন মিয়া, শিহাব মিয়া, সোহেল মিয়া ও আবুল বাশারকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী।
১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে সাত বছর কারাদণ্ড দেন বলে জানান পিপি।
রায়ে সন্তোষ জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাকির হোসেন বলেন, “আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।“
রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান।