কুমিল্লায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ভবনে যুবকের গলাকাটা মরদেহ

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ভবন থেকে এক যুবকের গলাকাটা ও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টায় মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন লাকসাম থানার ওসি সাহাবুদ্দিন খান।

২৩ থেকে ২৬ বছর বয়সী যুবকের মরদেহটির মুখ থেঁতলানো অবস্থায় থাকায় প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। যুবকের পরনে ছিল কালো থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ও পিঠে পিস্তল অংকিত কালো শার্ট।

তিন-চার দিন আগে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি সাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে হাঁটার সময় হঠাৎ প্রচণ্ড দুর্গন্ধ পান। পরে তিনি একটি পরিত্যক্ত বাসার ভাঙা জানালা দিয়ে উঁকি মেরে ভেতরে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

তিনি বিষয়টি অন্যদের জানালে স্থানীয়রা সেনা ক্যাম্প ও লাকসাম থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, পরিত্যক্ত বাসাটিতে রাতের আঁধারে মাদকাসক্তরা ঢুকে আড্ডা এবং মাদক সেবন করত। তারাই হয়তো এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরের সেই বাসা-বাড়িগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বন্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তাঘাট এবং ভেতরের বাসা-বাড়িগুলো পানিতে ডুবে গেছে। ”

তিনি আরও বলেন, “যে বাসার ভেতর মরদেহটি পাওয়া গেছে সেটি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরিত্যক্ত বাসা। বাসার সামনের দরজায় তালা লাগানো এবং বন্ধ। পেছনের দিকে একটি জানালা ভাঙা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

ওসি সাহাবুদ্দিন খান বলেন, সিআইডির তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ দলসহ পুলিশ মরদেহের পরিচয় ও জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।