“তিন আসামিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ছাত্রীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।”
Published : 19 Sep 2024, 04:11 PM
নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পরে ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুম করার ঘটনায় তিন যুবককে ভিন্ন ধারায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান জানান।
দণ্ডিতরা হলেন- নাটোর শহরের বনবেলঘড়িয়ার তালতলা এলাকার মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. সেলিম (২৫), একই এলাকার মো. আলতাফ হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শরিফ (২২) ও আরশেদ ওরফে হেনতালের ছেলে মো. মনির হোসেন (২৩)।
রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিতি ছিলেন না। কারাদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক তাদের ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার বরাতে আনিসুর বলেন, “২০১৬ সালের ২৯ মে সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে হলে সেলিম ও তার সহযোগীরা তাকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে বাসে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে মেয়েটির বাড়ির লোকজন সেলিম ও এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের পরিবারের সদস্যদের জানায়। কিন্তু তারা কোন সহযোগিতা না করে হুমকি-ধামকি দেয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেন।
“ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিমান্ডে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই ছাত্রীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে কর্মকর্তা নাটোর সদর থানার এসআই প্রশান্ত চন্দ্র পরামানিক, এসএম আবু সাদাদ ও মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০১৮ সালে ২৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।”
পরে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিন আসামিকে ভিন্ন ধারায় ৪৪ বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা দেন বিচারক। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগীর পরিবার পাবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।