গুলিবিদ্ধদের মধ্যে চিকিৎসা দিয়ে একজনকে বাসায় ও দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
Published : 04 Nov 2023, 03:20 PM
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আশুলিয়ায় আবারও বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে আহত হয়েছেন তিন জন।
শনিবার সকালে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় এ সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি।
সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ তিন জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেরণ এলাকার নারী ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক জয় ভট্টাচার্য।
তারা হলেন, স্থানীয় ভ্যানচালক আমিরুল ইসলাম, পথচারী মো. শামিম ও মো. তাজউদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন কারখানা লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে ও সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পাশের গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থেকে।
এ সময় পুলিশও গুলি ছুড়লে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝখানে পড়ে ভ্যানচালক আমিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে বেরণ এলাকার নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই হাসপাতালের চিকিৎসক জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমিরুল ইসলাম ছাড়াও সকালে আরও দুইজন স্প্রিন্টারের আঘাতে আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা রিকশায় যাওয়ার পথে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে জানিয়েছেন।”
তাদের মধ্যে মো. তাজউদ্দিনকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠানো হয়েছে। আমিরুল ও শামিমকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, “সকালে শ্রমিকরা সড়কে নামার চেষ্টা করলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন আমরা রাবার বুলেট ছুড়েছি। কিন্তু আমরা কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়িনি।”
শিল্প পুলিশ-১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি বলেন, “সকালে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তায় জড়ো হচ্ছিলো। পুলিশ তাদের সরিয়ে রাস্তা খালি করতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।”
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান শিল্প পুলিশের এই কর্মকর্তা।