একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
Published : 17 Jan 2025, 10:16 PM
মাঘের শুরুতে পঞ্চগড়ে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে ঠান্ডায় কাবু দেশের সর্ব উত্তরের জেলার বাসিন্দারা। দিনভর ঠান্ডা বাতাসে বিপর্যস্ত জনজীবন।
শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ।
তিনি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই হিসেবে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেওয়া তথ্য অনুসারে তাপমাত্রা বাড়লেও শীত বাড়িয়েছে হিমেল বাতাস।
দিনভর দেখা গেছে, সকাল থেকে মেঘলা আকাশের আড়ালে ঢাকা ছিল সূর্য। ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘের আবরণে ঢাকা ছিল প্রকৃতি। বাতাসের কারণে দিনভর শরীরের গরম কাপড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে অনেককে।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের গৃহপালিত প্রাণীদের ওপর বেশি শীতের প্রভাব পড়েছে। শীত থেকে রক্ষায় গরু-ছাগলকে পরানো হচ্ছে পুরোনো কাপড় কিংবা চটের বস্তা।
বোদা উপজেলা বাজারের ব্যবসায়ী সামসুল আলম বলেন, বরফ ঝরা বাতাস বইছে এ অঞ্চলে। বাতাসে শীতের প্রকোপ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েক গুণ বেশি।
জেলা শহরের ব্যারিস্টার বাজারের সামনে মোলানীপাড়া গ্রামের আইয়ূব আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে ঠান্ডা বাতাস বইছে। বাতাসে যেন বরফ ঝরছিল। দিনভর ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা।
বোদা বাজারের ভ্যানচালক জয়নাল বলেন, দিনটা মেঘে ঢাকা গেল। সূর্যের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা বাড়লেও ঠান্ডা বাতাস কাবু করছে সবাইকে। ঠান্ডার ভয়ে অনেকে ভ্যানে চড়ছে না। আমরাও ঠান্ডার কারণে ভ্যান ঠিকমত চালাতে পারছি না। হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। আয় রোজগারও কমে গেছে।
বৃহস্পতিবারের তুলনায় তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বেড়েছে বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জিতেন্দ্রনাথ।
তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা আগে দিন সকাল ৯টায় ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা বাড়লেও ঘন কুয়াশা ও বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি।