Published : 15 May 2024, 09:19 PM
বরিশালের বানারীপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আরেক আওয়ামী লীগ নেতা।
বুধবার বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তার কাছে ওই অভিযোগ দেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে আসা, কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা এমজি মোস্তফা ফেরদৌস বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগে বলা হয়, “প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ৯ মে বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ফকির বাড়িতে এক কর্মীসভায় বক্তব্য দেন। সেখানে প্রকাশে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার চেয়ে বড় মাস্তান, বড় গুন্ডা বানারীপাড়ায় নাই’।”
অভিযোগের বিষয়ে মাওলাদ হোসেন সানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রার্থীর এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এতে তারা ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে আসবে না। ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে না এলে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতিশ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে।
ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করে তিনি বলেন, “তাই ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে মো. গোলাম ফারুক দাবি করেন, তার গোটা বক্তব্য না দেখিয়ে খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হয়েছে, অভিযোগটিও সেইভাবেই দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৫ জুন চতুর্থ দফায় বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ভোটে চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
তারা হলেন- গোলাম ফারুক, মাওলাদ হোসেন সানা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জিয়াউল হক মিন্টু।
এর মধ্যে গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনলেন মাওলাদ হোসেন।
অভিযোগের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব ও বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিটানিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
রিটার্নিং কর্মকর্তা কুষ্টিয়া জেলার অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা এমজি মোস্তফা ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটা আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা এবং ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য যা যা প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”