বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অফিস-আদালত ও বাসাবাড়িতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রাহকদের।
Published : 17 Oct 2024, 11:45 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় দিনভর গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় অফিস-আদালত ও বাসাবাড়িতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রাহকদের। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক মো. মকবুল হোসেন এবং নবীনগর উপজেলার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ সারাদেশে কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এর প্রতিবাদে সারাদেশে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত প্রায় ৭৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও একাত্মতা প্রকাশ করে আন্দোলনে নামেন। তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সারাদেশে প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে ১৪ কোটি মানুষকে সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে দ্বৈত-শাসন চলছে। আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে আন্দোলন চলছিল। এর মধ্যেই কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত ও কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে আন্দোলনের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দলের পাশাপাশি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ, সদর থানার ওসি মো. মোজাফফর হোসেন পল্লী বিদ্যুতের সুহিলপুর কার্যালয়ে যান।
বিকালে তারা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সন্ধ্যার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চালু হয়।
ইউএনও সেলিম শেখ সাংবাদিকদের বলেন, “বিদ্যুৎ চালু করা নিয়ে আমরা দফায় দফায় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, সব এলাকাতেই বিদ্যুৎ চালু করার। আশা করছি, সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”