ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সুপ্রদীপ চাকমা।
Published : 08 Oct 2024, 03:50 PM
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সম্প্রতি সাজেক ভ্রমণে গিয়ে প্রচুর পর্যটক আটকা পড়েন। সারাদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকরা সেখানে গিয়ে আটকে পড়ায় সরকার খুবি বিব্রত অবস্থায় পড়ে।
“এতে সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা বিব্রত অবস্থায় পড়তে চাই না! সরকার সকল দিক বিবেচনা করে এটা (পর্যটন) খুলে দিবে।”
ঢাকায় ফিরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সুপ্রদীপ চাকমা।
১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালায় সহিংসতার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, “সংঘাত ও হামলার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।
“এখানে যারা সাধারণ পাহাড়ি ও বাঙালি আছেন, তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নাই। যারা সংঘাত করেছেন, তারা বাইরে থেকে আসেন নাই! তবে যারা অপরাধী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “এখানে উপস্থিত সবাই চাঁদাবাজির শিকার। প্রত্যেককে চাঁদা দিতে হচ্ছে। মুরগী কিংবা কলার ছড়া বিক্রি করলেও চাঁদা দিতে হয়। আমরা কেন দিচ্ছি? এটা কখনো হতে পারে না।”
পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে ‘ওপেন ফিল্ডে’ এসে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতির করার আহ্বান জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা।
পরে লারমা স্কয়ারের সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা, ভাঙচুরে শিকার হওয়াদের ২০ হাজার করে এবং নিহত একজনের পরিবারকে এক লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো আরেফিন জুয়েল, দীঘিনালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা, সাবেক চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা এবং উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিতি ছিলেন।