এ ঘটনায় পক্ষ দুটি একে অন্যকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
Published : 17 Mar 2025, 01:57 PM
কুষ্টিয়ায় পদ-পদবীর দ্বন্দ্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর এসেছে।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড়ের সমবায় মার্কেটের সামনে ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান।
পরে তা কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে ছড়িয়ে পড়ে।
এতে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান, নাগরিক কমিটির সদস্য সুলতান মারুফ তালহা, আলভী, ইব্রাহিম, জুবায়ের, নয়ন, আলী আহসান, সোহান ও রেজোয়ান। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইব্রাহিমের অবস্থা গুরুতর।
এ ঘটনায় দুপক্ষ একে অন্যকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছেন।
পদ বঞ্চিতদের পক্ষ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-সদস্যসচিব সুজন মাহমুদ বলেন, “যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার পুরো দায়ভার জেলার আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির সদর প্রতিনিধি সুলতান মারুফ তালহার।”
সুজনের অভিযোগ, “মূলত এদের অপকর্ম, চাঁদাবাজি, মামলার ব্যবসা, কুমারখালি আর মিরপুরের বালুর ঘাট থেকে চাঁদা নেওয়া, সদর কমিটিতে ছাত্রলীগ পুনর্বাসন করা সহ বেশকিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করি। এমনকি আমাদের কুষ্টিয়ার গর্ব আবরার ফাহাদের নামে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ছাত্রলীগের ছেলে-পেলে নিয়ে আড্ডা দেয় তারা। এ কারণে লাইব্রেরির সামনের রাস্তায় আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা কালে তারা আমাদের ছেলেরদের ওপর হামলা চালায়।”
পাল্টা অভিযোগ করে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ বলেন, “যারা বর্তমান কমিটিতে পদ-পদবি না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়েছে, তারাই এই কমিটিকে বিতর্কিত করতে চাচ্ছে, তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
তাদের কমিটির সদস্যসচিব ও নাগরিক কমিটির নেতাসহ তাদের অন্তত ৮-৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে দাবি করে পারভেজ মোশাররফ বলেন, কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক সায়াদ ইসলাম শ্রেষ্ঠ বলেন, “কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে সমবায় মার্কেটে সম্প্রতি আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি নামের একটি পাঠাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। সেখানে নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বসেন।
“কিছু উগ্রপন্থি যারা লাইব্রেরিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, তারাই এ হামলা চালিয়েছে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।”