২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
Published : 18 Nov 2024, 07:56 PM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া দ্বিতীয় মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাতিজা তোফায়েল হোসেনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার দুপুরে কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ৪ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক ওরফে রিংকু।
৫৮ বছর বয়সি তোফায়েল চৌদ্দগ্রামের বুসয়ারা গ্রামের প্রয়াত আম্বর আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তার চাচা মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন বলেন, বাসে পেট্রলবোমায় মেরে আটজন নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি তোফায়েলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে চার দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দেশজুড়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, “রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে তোফায়েলের জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।”
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা থেকে তোফায়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার আদালতে মো. আবুল খায়ের বাদী হয়ে ১৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তৎকালীন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের তৎকালীন ডিজি বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী আসামি করা হয়। ওই মামলায় তোফায়েল ১৫ নম্বর আসামি।
একই ঘটনায় সেই সময় চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন এসআই নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমীর সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হুকুমদাতা করে প্রথম মামলাটি করেছিলেন।