বাগেরহাটে ভবনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১

ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

সোমবার সকাল সোয়া ৯টায় উপজেলা সদরের একটি পাঁচতলা ভবনে লাগা এ আগুনে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে চিতলমারী থানার ওসি এস এম শাহদাৎ হোসেন জানিয়েছেন।

পরে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিটের চেষ্টায় সোয়া তিন ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে খূলনা ফায়ার সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মতিয়ার রহমান জানান।

নিহত নারীর নাম অনিতা রায়; বয়স ৪০ বছর

ওসি শাহদাৎ বলেন, “ওই পাঁচতলা ভবনে হঠাৎ করে আগুন ও ধোঁয়া দেখে স্থানীয়রা। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তাদের ছয়টি ইউনিট এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ভবনের দুই ও তিন তলায় সোনালি, কৃষি, আইএফআইসি ও ব্যাংক এশিয়ার কার্যালয়। চারতলায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল এবং পাঁচতলায় আবাসন রয়েছে।

“এক পর্যায়ে ভবনটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে লোকজন বাইরে নেমে আসছিল। এ সময় চারতলার সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় এক নারী পড়ে গিয়ে মারা যান। তিনি ওই ভবনের তাপস নামে এক চিকিৎসকের বাসার গৃহপরিচারিকা ছিলেন। তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।”

ফায়ার সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের উপপরিচালক (ডিডি) মতিয়ার রহমান বলেন, “চিতলমারী সদরের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লাগার খবর পেয়ে খুলনা, বাগেরহাট ও গোপালগঞ্জের আটটি ইউনিট নিয়ে সেখানে পৌঁছাই। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পানি ছিটিয়ে বেলা পৌনে ১টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।”

ভবনের নিচতলার একটি পোশাকের দোকানে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা এ ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তার ধারণা।

বাগেরহাট সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মো. রায়হান বলন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ভবনের চারিদিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ভবনের ক্লিনিক ভর্তি রোগী এবং আবাসিকে কিছু মানুষ আটকে আছে। সেনা সদস্যরা ভবনে ঢুকে তাদের নিরাপদে নামিয়ে আনে। সব মিলিয়ে অন্তত ৮০ জনকে আমরা নিরাপদে সরিয়ে এনেছি। এর মধ্যে যারা রোগী তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছি।”