পাবনায় বীর নিবাস বরাদ্দে ‘অনিয়ম’ তদন্তে জেলা প্রশাসন

একজন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে একমাত্র তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2023, 05:02 PM
Updated : 30 March 2023, 05:02 PM

পাবনায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ‘বীর নিবাসের’ বাড়ি বরাদ্দে অনিয়ম তদন্ত করছে জেলা প্রশাসন। 

পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলমকে একমাত্র তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টির তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেবেন। 

এর আগে এ ঘটনা তদন্তে বেড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে আহবায়ক এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূরে আলম ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাওছারুল আলমকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল উপজেলা প্রশাসন। 

‘পাবনায় বীর নিবাস, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর নামের বাড়ি পেলেন আরেকজন’ শীর্ষক সংবাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত হয় গত বুধবার। 

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, জরুরি দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় তদন্তের বিষয়ে লিখিত নির্দেশনা হাতে পাননি। 

“আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পত্র হাতে পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে অন্যায় কখনও চাপা থাকে না, তারা অন্যায় করলে তদন্তে বের হয়ে আসবে।” 

পাবনার বেড়া উপজেলায় সরকারি নীতিমালা লংঘন করে বীর মুক্তিযোদ্ধার অসচ্ছল স্ত্রীর নামে বরাদ্দ বাড়ি তাদের সচ্ছল ছেলে সরকারি চাকরিজীবী শফিউদ্দিন ফকিরের নামে হস্তানর করা হয়।   

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মুজিববর্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ‘বীর নিবাস’ নামে সারাদেশে ৩০ হাজার একতলা পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে সরকার। 

নীতিমালা অনুসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি ও  সমাজসেবা কর্মকর্তা সদস্য সচিব হিসেবে বরাদ্দ কমিটি করে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা বাছাই করবেন। 

বীর নিবাস বরাদ্দ নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারি আবাসন কিংবা ভূমির সুবিধা পাননি এমন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা বা পরিবার বীর নিবাসের বরাদ্দ পাবেন। যুদ্ধাহত, প্রতিবন্ধী হলে অগ্রাধিকার পাবেন। আবেদনকারীকে অবশ্যই অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে। 

বেড়া উপজেলার কাজীরহাটে বাড়ি বরাদ্দ পাওয়া শফিউদ্দিন ফকির অসচ্ছল নন। তিনি কাজীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই। 

রফিকুলের আরেক ছোট ভাই শওকত আলী ফকির পাবনার সুজানগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকতা। 

সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে মায়ের নামের ‘বীর নিবাস’ ভাই শফিউদ্দিন ফকিরের নামে বরাদ্দ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। 

এ কাজে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুর আলীর বিরুদ্ধেও সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন

Also Read: বীর নিবাস: মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর নামের বাড়ি পেলেন আরেকজন