মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলে আসছিলেন, ১০ ডিসেম্বর তাদের সমাবেশ ‘হবে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2022, 09:49 AM
Updated : 9 Dec 2022, 09:49 AM

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতা-কর্মীরা।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং ও শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ঠাকুরগাঁও শহরের আমতলী মোড় থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।

মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুর, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন বলেন, বিএনপি মহাসচিব ও ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকার বাড়ি থেকে গভীর রাতে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অবিলম্বে তাদের ছেড়ে না দিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

এদিকে দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘিরে প্রচুর পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

Also Read: নয়া পল্টনে সংঘর্ষ: উসকানির অভিযোগে গ্রেপ্তার ফখরুল ও আব্বাস

বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে গত কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে দেশের রাজনীতিতে। সহিংসতার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে।

নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পুলিশ তাদের অনুমতি দিয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের। এ নিয়ে অনড় অবস্থানে ছিল দুই পক্ষ।

এর মধ্যে গত বুধবার বিএনপি কর্মীরা নয়া পল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে আহত স্বেচ্ছাসেবক দলের এক ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতার মৃত্যু হয় হাসপাতালে।

এরপর বিএনপি অফিসে অভিযান চালিয়ে হাতবোমা পাওয়ার কথা বলা হয় পুলিশের তরফ থেকে। গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় পাঁচশ নেতাকর্মীকে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তারপরও বলে আসছিলেন, ১০ ডিসেম্বর তাদের সমাবেশ ‘হবে’। তবে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘সমঝোতা বৈঠকের’ পর অবস্থান বদলের ঘোষণা আসে।

রাতের সেই বৈঠকের পর ভোর হওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে আটক বরে নিয়ে যাওয়ার খবর আসে; কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর কথা জানাল।