ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনগুলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করার পর কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
Published : 14 Jun 2024, 08:43 PM
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানী থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাড়ি যাচ্ছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ কারণে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে উত্তরের পথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে যানবাহনের গতি কিছুটা শ্লথ হলেও দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে না ঘরমুখো মানুষদের।
ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী যানবাহনগুলোকে বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করার পর কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।
তবে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপেও ঝুঁকি নিয়ে ঘরমুখো মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও কোনো যানজট দেখা যায়নি। উত্তরের পথে সিরাজগঞ্জ অংশের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে গাড়িগুলোকে সবসময় চলতে দেখা যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর দিয়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণের ২২ জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৭ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদের সময় এ সংখ্যা বেড়ে হয় দ্বিগুণ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ট্রাফিক পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, “মহাসড়কে চাপ থাকলেও উত্তরের পথে কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি, উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা গত ঈদের মতো এবারও নির্বিঘ্ন হবে।”
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “ঈদের ছুটিতে মহাসড়কে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে। তবে কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানজট যেন না হয় সেদিকে সর্তক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আট শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দ্রুত সরানোর জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
“পার্শ্ব রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন মহাসড়কে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সেতুর ওপার থেকে যানবাহনগুলো সিরাজগঞ্জ অংশে পৌঁছামাত্র সেগুলোকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়লেও মহাসড়কে কোনো যানজট নেই।”
সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় ড্রোন দিয়ে মহাসড়ক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।