মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে ট্রলার মালিক ও চালকদের নাফ নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
Published : 12 Dec 2024, 08:38 PM
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কোস্টগার্ডের সহায়তায় টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন গেল পণ্যবাহী সাতটি ট্রলার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টেকনাফের ইউএনও শেখ এহেসান উদ্দিন জানান বিকালে ট্রলারগুলো সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে ট্রলার মালিক ও চালকদের নাফ নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়।
তবে বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে জানায় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা।
মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী প্রচারিত বিবৃতিতে নাফ নদীর মিয়ানমার অংশ দিয়ে মাছ ধরার ট্রলারসহ যেকোনো ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এতে নাফ নদীর জলসীমার শূন্যরেখার কাছাকাছি নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইউএনও শেখ এহেসান বলেন, নাফ নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় মালামালের সংকট দেখা দিতে পারে। তাই সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দ্বীপে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
তিনি বলেন, “জোয়ারের সময় ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রলারগুলোকে নাফ নদী দিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তর দিয়ে অনুমতি নিয়ে চলাচল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব ট্রলার কোনো অবস্থাতেই শূন্যরেখার কাছাকাছি অথবা মিয়ানমার জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া জোয়ারের সময় যাত্রীবাহী স্পিড বোটগুলো শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর পয়েন্ট দিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াত করতে পারবে।”