মেয়েটিকে উদ্ধার করে রাতে থানায় আনা হয়েছে, বলেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি।
Published : 24 Jan 2025, 10:49 PM
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বেড়ানোর কথা বলে তরুণীকে ডেকে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামে এ ঘটনার শিকার মেয়েটিকে থানায় আনা হয়েছে বলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান জানান৷
১৯ বছর বয়সি মেয়েটি পাশের গৌরীপুর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তরুণেরা হলেন- ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৪), শান্ত মিয়া (১৯), জীবন মিয়া (২২) ও মো. নাঈম মিয়া (১৯)।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে গ্রামের একটি বাড়িতে ওই চার তরুণ ধর্ষণ করে।
মেয়েটি বলছে, প্রায় এক বছর আগে মোবাইল ফোনে ইজিবাইক চালক জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তার। বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে গৌরীপুর পৌর শহর থেকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঈশ্বরগঞ্জের সোহাগী ইউনিয়নের চট্টি গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
তরুণীর অভিযোগ, বাড়িটিতে জাহাঙ্গীর ছাড়া আরও তিন তরুণ মিলে হিজাব দিয়ে তার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে ওই চার তরুণ তাকে ধর্ষণ করে। তখন তাদের হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটি কান্নাকাটি শুরু করলে বাড়ির পাশে একটি খোলা মাঠে নিয়ে মারধর করতে থাকে তারা।
মেয়েটি জানায়, “তখন চিৎকার শুনে স্থানীয় এক ব্যক্তি আমাকে উদ্ধার করে।”
বৃস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তরুণীকে উদ্ধার করেন চট্টি গ্রামের জুয়েল মিয়া। তিনি বলেন, “জমিতে সেচ দিতে গিয়ে মেয়েটির কান্নাকাটি শুনে তাকে উদ্ধার করি। চার তরুণ আমাদের এলাকার। এদের বিচার হওয়া উচিত।” ঘটনার পর থেকে চার তরুণ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, “মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয় রাতে৷ ধর্ষণে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।”
এ ঘটনায় এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, বলেন ওসি।