আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক; আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাসায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
Published : 04 Aug 2024, 09:52 PM
একদফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনকারী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত অর্ধশতাধিক।
রোববার দিনভর শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী এবং ছয়জন যুবলীগের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরূপ পাল সাংবাদিকদের বলেন, “তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছিল। সে পথে মারা গেছে।”
এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমকর্মীরা শহরের শাখারিপাড়ায় তিন যুবলীগ নেতাকর্মীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
বাকি তিন যুবলীগ নেতাকর্মীর লাশ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসার সামনে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের উত্তর তেমোহনী এলাকায় অবস্থান নেন। আর আন্দোলনকারীরা ডিসি অফিসের সামনে ঝুমুর এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঝুমুর এলাকার দিকে আসার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা ধাওয়া দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয়।
মাদাম ব্রিজ এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে মুহুর্মুহু হাতবোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা গোটা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।
এরপর সারাদিনই আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নুরু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুন নবী সোহেলের বাসায় অগ্নিসংযোগ করে। সন্ধ্যার পরও তাদের বাড়িঘর জ্বলতে দেখা গেছে।