বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি করার সময় বাধা দেওয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার নজির উদ্দিন ও ফরিদা বেগম দম্পতিকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এ ঘটনায় নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলার দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আলমডাঙ্গার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে শাহাবুল হক (২৪), পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫), মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩) ও তাজউদ্দীনের ছেলে শাকিল হোসেন (২১)।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলা সদরের পুরাতন বাজারপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ী ৭০ বছর বয়সী নজির উদ্দিন ও তার ৬০ বছর বয়সী স্ত্রী ফরিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন তাদের মেয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার পাঁচদিনের মধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মামুন জানান।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়িতে নজির উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। রাত ৮টার দিকে বালু কেনার কথা বলে চারজন বাড়িতে ঢোকে। ভেতরে ঢুকে তারা ডাকাতি করার চেষ্টা করলে নজির ও তার স্ত্রী তাদের বাধা দেন।
“এ সময় ওই চারজন এ দম্পতিকে শ্বাসরোধ করে ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।”
পুলিশ গ্রেপ্তার চারজনের কাছ থেকে নগদ ৪৩ হাজার টাকা ও লুট করে নেওয়া মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছে বলে সংসাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
আরও পড়ুন