কুড়িগ্রামে বুধবার ও বৃহস্পতিবার এবং গাইবান্ধায় বৃহস্পতিবার এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ফিুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখান কপুর মাষ্টারটারী গ্রামের এছাহাক আলীর ছেলে নুর ইসলাম (৫৫), শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী জকুরটল গ্রামের প্রয়াত মনিরুজ্জামান ওরফে মনির ধনির ছেলে এছাহাক আলী (৫৭), উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের বালাচর রামরামপুর গ্রামের প্রয়াত আবুল হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৫)।
গাইবান্ধায় নিহত হন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের বামনজল গ্রামের আনারুল মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম মিয়া।
ফুলবাড়ী থানার ওসি ফজলুর রহমান পরিবারের বরাতে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নুর ইসলাম আমন বীজতলায় সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান।
এ ছাড়া বুধবার বিদ্যুতের বোর্ডে হাত দিয়ে এছাহাক আলী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান বলে তিনি জানান।
স্থানীয়রা জানান, উলিপুরের বালাচর রামরামপুর গ্রামের মুরগী খামারী মতিয়ার রহমান বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। তিনি শিয়ালের উপদ্রব কমাতে খামারের চারদিকে জিআই তার দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। সকালে সুইচ অফ না করে অসতর্কতাবশত জিআই তারে হাত দিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি মারা যান।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন; বিষয়টা মর্মান্তিক। দুর্ঘটনা এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পরামর্শ দেওয়া হবে।
এ ছাড়া কৃষকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরগঞ্জের দহবন্দ ইউনিয়নের বামনজল গ্রামে আব্দুর রহিম মিয়া নিহত হয়েছেন।
দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আলম রেজা জানান, আব্দুর রহিম গাছ থেকে সুপারি পাড়তে রাড়ির পাশে সুপারির গাছে ওঠেন। এ সময় সুপারির গাছ হেলে গিয়ে পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে লেগে যায়। এ সময় তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান।