মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি সফিকুল ইসলাম জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন, উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়নের মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিন (১৯), তার বড় ভাই মো. রোহান মিয়া (২৪), হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯), পুঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)।
উপজেলার পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে দাদরা গ্রামের আব্দুস সামাদের (১৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে তার অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সামাদের বাবা মো. শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
ওসি সফিকুল দাবি করেন, “রবিন মিয়া আর সামাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। সেই সুবাদে সামাদ নিয়মিত রবিনের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। এক পর্যায়ে রবিনের ছোট বোনের সঙ্গে সামাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রবিন বিষয়টি জানার পর সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।”
“সেই অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যার দিকে রবিন ও তার ভাই রোহান সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে যায়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে ছিলেন নাঈম ও শাহীনুর। তারা সামাদকে পাশের ঝোপের আড়ালে নিয়ে প্লাস্টিকের রশি ও জালের টুকরো গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে চলে যায়।”
ওসি আরও বলেন, পরদিন সকালে ওই স্কুলের পাশে সামাদের অটোরিকশাটির দেখা মিলে। স্থানীয়রা স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে পা দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।