রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার খুরুশকুলের ডেইলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল উদ্দিন ডেইলপাড়ারে প্রয়াত লাল মোহাম্মদের ছেলে। তিনি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
হামলায় আহত চার জনের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা রমজানকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মাহমুদুল করিম বলেন, তিনি বিষয়টি কক্সবাজার সদর থানার ওসিকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। আওয়ামী লীগ নেতারা ফয়সালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ জানিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মাহমুদুল বলেন, কিন্তু পুলিশের তিন জন সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া এসআই রায়হান তাকে একটি অটোরিকশা যোগে অন্য জায়গায় পাঠানোর চেষ্টা করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুলিশের সদস্য বাড়ানোর এবং পুলিশের গাড়িযোগে ঘটনাস্থল থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
“পুলিশ অটোরিকশায় তাকে এবং কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে দিয়ে পেছনে পেছনে যেতে থাকে। কিছুদূর যেতেই সংঘবদ্ধ চক্রটি ফয়সালের উপর হামলা চালায়। এতে ফয়সাল নিহত এবং অপর ৪ জন আহত হয়।”
কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন জানান, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের সম্মেলন পরবর্তী এ হামলাটি সংগঠিত করে। পুলিশ সদস্য কম হওয়ায় ছাত্রলীগ নেতার প্রাণ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।
এ হামলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকেন্দ্রিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা জরুরি।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান বলেন, ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশ তার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবির পাশাপাশি তিনি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
সদর হাসপাতালে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম উদ্দিনের সঙ্গে দেখা হলেও তিনি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।
সদর থানার ওসি মুনীর-উল গীয়াস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের সঙ্গে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।