গত বছর অগাস্টে জেলার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ী এলাকায় কয়েকটি স্পার কয়েক দফা ভাঙনের মুখে পড়ে। তখন ইঁদুরের গর্তে পানি চুইয়ে স্পারের গোড়া ভেঙে ধসে যায়। কিন্তু পানি কম থাকায় সমস্যা হয়নি। এবার প্রতিদিন পানি বাড়ছে। স্পারের নিচে ফাঁকা অংশ বস্তা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হলেও শঙ্কিত এলাকাবাসী।
ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু বলেন, “স্পার ভেঙে গেলে পানি গিয়ে বাঁধে আঘাত হানবে। বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় ভান্ডারবাড়ী ও গোসাইবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কে আছে। ইঁদুরের গর্ত বন্ধ করার পাশাপাশি স্পারের গোড়া দ্রুত সংস্কার করা জরুরি।”
জনপ্রতিনিধিরা জানান, বার বার স্পারে ভাঙনের ফলে তা আরও বেড়েছে। শিমুলবাড়ী স্পারটি ভাঙনের মুখে পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, অব্যাহত বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধির ফলে স্পারের নিচে প্রবল স্রোত। স্পারের গোড়ায় কিছু বস্তা দিয়ে রাখা হয়েছে। ওপরে অনেক ইঁদুরের গর্ত। বৃষ্টিতে সেই গর্ত দিয়ে পানি ঢুকে স্পারের মাটি সরে গেছে। ফলে বেড়িবাঁধ হুমকিতে পড়েছে।
বাঁধ ভেঙে গেলে কয়েকটি গ্রাম তছনছ হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী তাদের আতঙ্কের কথা জানান।
ধুনটের ইউএনও সঞ্জয়কুমার মোহন্ত বিকালে শিমুলবাড়ী স্পারসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন করেছেন।
বগুড়ার ডিসি মো. জিয়াউল হক বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণে সব বিষয় তদারক করছেন তারা।
আরও পড়ুন