দিশাবন্ধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাই বলেছেন, নিয়ম অনুযায়ী ভোটের লাইনে কেউ দাঁড়িয়ে গেলে তার ভোট নিতে হবে। ভোটের সময় শেষ হলেও ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
কেন্দ্রটি নগরীর প্রাণকেন্দ্র টমঝম ব্রিজ থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে শহরতলীর দিকে। স্কুলের এক দেয়ালের মধ্যেই নারী ও পুরুষের আলাদা দুটি কেন্দ্র। প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে চারটি করে বুথ। দুই কেন্দ্র মিলিয়ে আটটি বুথ।
এক নম্বর লাইনে দাঁড়ানো লাকী আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। একটু একটু করে এখন প্রায় কাছে চলে আসছি। ভোট না দিয়ে যাব না।”
ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আসগর আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ কেন্দ্রে মোট এক হাজার ৯৩৯ জন নারী ভোটার রয়েছে। এখন পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে ৮৮৫ ভোট। যারা লাইনে আছেন তারা যত সময়ই লাগুক ভোট দিবেন। এটা নিয়ম। এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে না।”
পাশের পুরুষ কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন থাকলেও সেটি দীর্ঘ নয়।
এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখানে মোট এক হাজার ৫৯৪ জন ভোটার। কাস্ট হয়েছে ৯৩৭টি। যে ভোটার আছে, আশা করি, নির্দিষ্ট সময়েই শেষ হবে।
এই কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে গিয়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থককে বসে থাকতে দেখা যায়।
পোলিং এজেন্ট না থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাই নাকি? এজেন্ট তো থাকার কথা, আচ্ছা দেখছি।”
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এদিন সকাল ৮টায় নির্ধারিত সময়েই এ নগরীর ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা একটানা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
সোয়া দুই লাখের বেশি ভোটারের এ নগরে ভোট নেওয়া হচ্ছে ইভিএমে। আর এবারই প্রথম সব কেন্দ্র ও ভোট কক্ষে রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
মেয়র পদের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে আলোচনা মূলত তিনজনকে ঘিরে। গত দুইবারের মেয়র বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারও নজর কেড়েছেন।
এ সময় দুইবারের মেয়র সাক্কু বলেন, “অন্য সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে একটু ক্রটি আছে, মেশিনে কোনো কোনো কেন্দ্রে কাজ করতাছে না।
“আমি তো ভোট দিয়া আইলাম। টিপ দিলে তো (প্রতীক) শো করবে, আপনি কাকে ভোট দিছেন শো করবে, কিন্তু (এখানে) শো করে না। একটা কেন্দ্রে গেছি, (প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে) বলছি। কাপ্তানবাজার গেছি… ছবি উঠে না। যারেই ভোট দেই ছবিডা তো উঠব, (কিন্তু) ছবিই উঠে না।“
“শুধু ইভিএম পদ্ধতিতে একটু ক্রুটি হচ্ছে, এইডাই কথা, অন্য কিছু না।”
আর ইভিএমে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, “সবেমাত্র একটি কেন্দ্রে গিয়েছি। তবে বয়ষ্কদের তো ইভিএম নিয়ে সমস্যা হয় আর ভোটগ্রহণ শ্লো হয়, দেখা যাক...।”
আরও পড়ুন: