কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু।
Published : 07 Jun 2022, 06:26 PM
সদ্য সাবেক মেয়র অভিযোগটি দেওয়ার পর গ্রহণ করা হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
তবে সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়েছে।
সাক্কু অভিযোগ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বলেন, “বাহাউদ্দিন বাহার একজন আইনপ্রণেতা। তিনি সরকারি দলের নেতাও। তিনি আইন পাশ করেন। এখন আইনপ্রণেতা হয়ে যদি তিনি আইন ভঙ্গ করেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা না মানেন- তাহলে তো মানুষের এই নির্বাচনের প্রতি কোনো আস্থা থাকবে না।”
“মানুষ ভাববে, এটা ২০১৪ বা ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতোই।”
“স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে মহানগর দলীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় মহানগর ও আদর্শ সদর উপজেলার নেতাকর্মীদের একত্রিত করে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া পাশের সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার নেতাকর্মীদের নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে, দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা।”
নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল শোডাউন করছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা; যাতে ভোটের আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাক্কু।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে স্থানীয় সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহারের কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় সেই আবেদন জানিয়েছেন সাক্কু।
অভিযোগের বিষয়ে বিকালে সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ করিনি। আমি কোনো নির্বাচনী প্রচারে যাইনি। কারো কাছে ভোট চাইনি। এমনকি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে যে নির্বাচনী ক্যাম্প হয়েছে সেখানেও আমি যাইনি।”
“আমি তো এলাকার জনপ্রতিনিধি। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব থাকে, কাজ থাকে। মানুষ আমার কাছে আসে। সেই দায়িত্ব পালনের নিষেধের কথা তো কোথাও বলা নেই”, যোগ করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আরও পড়ুন: