কুষ্টিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৪, দুজন বৃদ্ধ

কুষ্টিয়া সদরে আধিপত্য বিস্তার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থক দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই বৃদ্ধসহ চারজন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2022, 01:45 PM
Updated : 2 May 2022, 04:32 PM

সোমবার বিকালে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে এই সংঘর্ষ হয় বলে ইসলামী বিশ্বিবিদ্যালয় থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান রতন জানান।

নিহতরা হলেন- আস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজিজুল হকের ছেলে মতিয়ার রহমান (৪৫), দাউদ মন্ডলের ছেলে লাল্টু মন্ডল (৪২), মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে আবুল কাশেম (৬৫) এবং মৃত আবুল মালিথার ছেলে আব্দুর রহিম মালিথা (৭০)।আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলীর সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আস্তানগর বাজারে কেরামত আলীর সমর্থক আব্দুর রহিম মালিথার সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় প্রতিপক্ষের কয়েকজনের সঙ্গে। এক পর্যায়ে কয়েকজন লোক রহিমের উপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।

এরপর সংবাদ পেয়ে কেরামত আলীর সমর্থকরা পাল্টা মেহেদী সমর্থকদের উপর হামলা চালালে দুপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মতিয়ার, লাল্টু ও আবুল কাশেম রক্তাক্ত জখম হন।

ওসি বলেন, পরে সংবাদ পেয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক চার জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হাসপাতালে ভর্তি ১০ জনের মধ্যে আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলম।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান রতন আরও জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এখন পরিস্থিতির পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

হত্যার ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি; অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।

এ ব্যাপারে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বলেন, “বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশতঃ তার লোকজনদের লেলিয়ে দিয়ে আমার বডিগার্ড রফিকুলের বাবা রহিম মালিথাকে হত্যা করেছে।”

তবে সংঘর্ষের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।