জেলার কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন।
তবে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইমাম হোসেন বুধবার সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১৫ এপ্রিল তিনিসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে ইফতার অনুষ্ঠানে যান।
“এতে ক্ষিপ্ত হন ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিন। চেয়ারম্যান ফেইসবুক লাইভে এসে যারা একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তাদের নানা রকম হুমকি-ধমকি দেন। ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমি স্থানীয় ভূঁইয়ারহাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে পেছন দিক থেকে পাঁচ-ছয়জনের একটা দল আমার ওপর হামলা চালায়।”
ইমাম হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, “হামলাকারীরা আমাকে হাতুড়িপেটা করে। এতে আমার মাথা ফেটে যায় এবং পুরো শরীর জখম হয়। হামলাকারীরা হাতুড়িপেটা করার সময় বলেছে, শাহিন চেয়ারম্যান আমাকে (ইমাম) হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন।”
তবে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এতে তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
ইমাম হোসেনের আরও অভিযোগ, তার ওপর হামলা ছাড়াও কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও একটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মনোয়ারা বেগম নামে এলাকার এক নারী বলেন, তার বাবা ও ভাই ওই ইফতার অনুষ্ঠানে যাওয়ার কারণে চেয়ারম্যান শাহিনের লোকজন তাদের বাড়িতে হামলা ও বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
তবে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, তিনি কিংবা তার কোনো লোক কারও ওপর কিংবা কারও বাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িত না।
“তবে ইমাম হোসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় তাকে ছেলেরা হালকা মারধর করেছেন বলে আমি শুনেছি। এছাড়া কারও বাড়িতে হামলা কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনা তাদের অপপ্রচার।”