সংযোগ সড়কের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটারের অবস্থা নাজুক। এই অংশে নয়টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ, যা স্বয়ং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্বীকার করেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আখতারের জয়েন্ট ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপক মো. এখলাস উদ্দিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো তারা যান চলাচলের উপযোগী করতে দ্রুতগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে তারা এই কাজ শুরু করলেও এত দিনে কেন শেষ করতে পারেননি সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি ব্যবস্থাপক এখলাস উদ্দিন।
ব্যবস্থাপক এখলাস উদ্দিন এত দিনে মাত্র ৫০ শতাংশ সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।
তবে সেতু, কালভার্ট, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস ও ওভারপাস তৈরির কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে তার দাবি।
শাহিন শেখ নামে একজন বাসচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্মাণাধীন এই মহাসড়কে ছোটখাটো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয়। পরিবহন শ্রমিকদের পাশাপাশি যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
“এ অবস্থায় ঈদযাত্রায় যাত্রীর ভিড়ে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ভোগান্তি আরও বাড়বে সন্দেহ নাই।”
বেলাল হোসেন নামে একজন যাত্রী একই আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, “স্বাভাবিক সময়ই এ সড়কে যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তাতে ঈদযাত্রায় পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।”
হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক লুৎফর রহমান বলেন, নতুন নলকা সেতু খুলে দিলে ভোগান্তি কমে যাবে। তাছাড়া হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত মহাসড়কের ছয়টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান ঈদের আগে মেরামত করতে চেয়েছেন ঠিকাদার।
“তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।”
কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি কতটুকু বাস্তবায়ন করবেন তা নিয়ে শঙ্কায় যাত্রীরা।
তাছাড়া পুলিশ অভিযোগ করে থাকে, যানজটের বড় কারণ নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানো।
“মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে অতিরিক্ত আরও আড়াই শতাধিক সদস্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
কতজন সদস্য পাওয়া যাবে সে বিষয়ে পরিদর্শক লুৎফর কোনো ধারণা দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন-