টেকনাফে আড়াই লাখ ইয়াবা উদ্ধার, আটক ৪

কক্সবাজারে টেকনাফে নাফ নদীতে বিজিবির পৃথক অভিযানে দুই লাখ ৫৮ হাজার ইয়াবাসহ চারজন আটক হয়েছেন, যাদের দুইজন মিয়ানমারের নাগরিক।

কক্সবাজার ও টেকনাফ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2022, 05:55 PM
Updated : 27 Jan 2022, 05:55 PM

বৃহস্পতিবার বিকালে সাবরাং ইউনিয়নের জিন্নাহ খাল এবং বুধবার মধ্যরাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকায় এ দুই অভিযান চালানো হয়ং বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে নাফ নদীর সাবরাং ইউনিয়নের জিন্নাহ খাল এলাকা থেকে ৭৮ হাজার ইয়াবাসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটকরা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলেরডেইলের মো. রবিউল ইসলামের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ও সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের প্রয়াত কালু মিয়ার ছেলে মো. হাফেজ আহমেদ (৪০) এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার আকিয়াব থানার মন্দ্রাচের প্রয়াত উচিংয়ে এর ছেলে ছেওয়াচি (৩৮) ও রয়েম প্রি জেলার দব্রিচাই থানার দব্রিচাইয়ের উ পানজ-এর ছেলে নেম উ চ (৩৬)।

শেখ খালিদ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে নাফ নদীতে মিয়ানমার সীমান্তে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ধাওয়া খেয়ে কাঠবোঝাই একটি ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। পরে ট্রলারটি টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের জিন্নাহখাল এলাকায় স্থানে ভেড়ে।

“এ সময় সেখানে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা ট্রলারটি থেকে সন্দেহজনক ৪ জন লোককে নামতে দেখে থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে লোকগুলো দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।”

খালিদ বলেন, আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, বিজিপির ধাওয়া খেলে নাফ নদীর জিন্নাহ খালে ভিড়ানো ট্রলারে ইয়াবার চালান মজুদ রয়েছে। পরে ট্রলারটিকে অন্য দুইটি ট্রলারের সহায়তায় টেকনাফের জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।

“এরপর ট্রলাটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় ৭৮ হাজার ইয়াবা। উদ্ধার করা ইয়াবাগুলোর আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।”

বৃহস্পতিবার রাতে আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।

অপর ঘটনা ঘটে বুধবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী এলাকায়।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, অভিযান চলাকালে মাদক কারবারিদের সঙ্গে গোলাগুলির পর ফেলে যাওয়া নৌকা থেকে আনুমানিক পাঁচ কোটি ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে।

তবে পাচারকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

শেখ খালিদ বলেন, বুধবার মধ্যরাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নাফ নদীর খারাংখালী পয়েন্ট এলাকা দিয়ে মাদকের বড় একটি চালান মিয়ানমার থেকে পাচারের খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে মিয়ানমারের মুদদ্বীপ থেকে একটি কাঠের নৌকা যোগে কতিপয় লোককে বাংলাদেশের আসতে দেখেন বিজিবির সদস্যরা। নৌকাটি জলসীমার শূন্যরেখা অতিক্রম করে নাফ নদীর কিনারার কাছাকাছি এলে ২/৩ জন লোক এগিয়ে যায়।

“এসময় সন্দেহজনক লোকগুলোকে থামার জন্য নির্দেশ দিলে তারা বিজিবির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে নৌকায় থাকা লোকগুলো নাফ নদীতে লাফ দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়।”

বিজিবি কর্মকর্তা জানান, উদ্ধার করা ইয়াবাগুলো বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন দপ্তরে মজুদ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।