শাবির পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছে সিলেটের একটি আদালত।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2022, 02:29 PM
Updated : 26 Jan 2022, 02:47 PM

মহনগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকশিনার বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, বুধবার সিলেট মহানগর হাকিম সুমন ভূঁইয়া তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

এরা হলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান স্বপন,স্থাপত্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রেজা নূর মুঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ এবং এ কে এম মারুফ হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।

আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, আদালতে পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে হাজির করা হয়েছিল। কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় নাজমুস সাকিব দ্বীপকে হাজির করা হয়নি। তবে তারও জামিন মঞ্জুর হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এর জেরে পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসের অন্তত অর্ধশত লোকজন আহত হন। সে ঘটনায় পুলিশ ‘গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগ’এনে অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে।

তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে উল্টো উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা অনশনে যান; ঘোষণা দেন উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার।

অনশন শুরু এক সপ্তাহ পর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই শিক্ষায়তনের সাবেক শিক্ষক ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমীন হক পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।

এই আন্দোলনকারীদের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়ার অভিযোগেই ঢাকা থেকে পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। পরে তাদের সিলেট পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার রাতে জালালাবাদ থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সিলেট সিটি পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্লাহ ওই সময় বলেছিলেন, “মামলার এজাহারে অসৎ উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান এবং আন্দোলনকারীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।”