শনিবার বিকাল সোয়া ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে মৌন মিছিলটি ক্যাম্পাসে চেতনা-৭১ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। এরপর একই পথ ধরে সাড়ে ৩টায় মৌন মিছিলটি পুনরায় গোলচত্বরে এসে জড়ো হয়। এতে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমাদের অনশনরত ভাইবোনেরা অনেক কষ্ট করছে। আমাদের কাফন মিছিলের প্রধান কারণ হল, এখনও এই উপাচার্য পদত্যাগ করছেন না, সেজন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে।"
বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
রোববার বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।
ওই ঘটনায় পুলিশ ‘গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগে’ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে।