কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিলে শাবি শিক্ষার্থীরা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী লাশ নিয়ে কাফনের কাপড় পরে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2022, 11:21 AM
Updated : 22 Jan 2022, 08:11 PM

শনিবার বিকাল সোয়া ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে মৌন মিছিলটি ক্যাম্পাসে চেতনা-৭১ পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।  এরপর একই পথ ধরে সাড়ে ৩টায় মৌন মিছিলটি পুনরায় গোলচত্বরে এসে জড়ো হয়। এতে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। 

এ সময় শিক্ষার্থী ইয়াছির সরকার বলেন, “উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশন কর্মসূচির মাঝেই আমরা কাফনের কাপড় পরে মৌনমিছিল করেছি।  আমাদের ২৩ জন ভাইবোন ৭২ ঘণ্টা ধরে না খেয়ে আছে। এরপরও এই নির্লজ্জ উপাচার্যের পদ থেকে সরছেন না।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমাদের অনশনরত ভাইবোনেরা অনেক কষ্ট করছে। আমাদের কাফন মিছিলের প্রধান কারণ হল, এখনও এই উপাচার্য পদত্যাগ করছেন না, সেজন্য আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আরও কর্মসূচি নেওয়া হবে।" 

এসময় সেখানে একজন আন্দোলনকারী ঘোষণা দেন, সন্ধ্যা ৬টায় গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে। সেখানে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। 

বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

রোববার বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদ করলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টার এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করে উল্টো উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তারা।

ওই ঘটনায় পুলিশ ‘গুলি বর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিটের অভিযোগে’ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে।