নির্বাচনের তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের এলাকা দেওভোগে প্রচারের সময় গণমাধ্যমে আইভী বলেন, “প্রশাসন কখনও আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। আমি সব সময় জনগণের দোড়গোড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছি। সরকারি দলের প্রার্থী হিসেবে বাড়তি সুবিধা পাইনি, নেওয়ার চেষ্টা করিও না।”
”জনগণ যেহেতু আমার পাশে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাব?” প্রশ্ন করেন নৌকার প্রার্থী।
১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন বিএনপির পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত তৈমুর আলম খন্দকার; যিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি, হয়রানি ও আটকের অভিযোগ করছেন।
হাতি মার্কার এই প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, “আমি জানি না কাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম বলুক। আমি একজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানি, যাকে হেফাজতের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কাকে ধরেছে, কী করেছে, সেটি আমি জানি না। জানার ব্যাপারও না।”
শহরে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সেটি দেখভালের দায়িত্ব প্রশাসনের বলে মনে করেন দুইবার এই মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এই প্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে আইভী আরও বলেন, “আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। কেউ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে সেটি নিশ্চয় প্রশাসন দেখবে। আমার তো ওইটা দেখার সময় নেই। আমার জনগণের কাছে যেতে হবে, জনতার কাছে ভোট চাইতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি কোনো সমস্যা হয় তারা দেখবে।”
নারায়ণগঞ্জে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, “ভোটাররা নৌকায় ভোট দেবেন এবং মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তারা কাকে ভোট দেবেন।”
এ সময় আইভী জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের কেন্দ্রে ভোট দিতে যাওয়ার আহ্বান জানান।
গত দুইবারের এই মেয়র বলেন, “সততা ও ঈমানের সঙ্গে আমি দলের একজন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। একই সঙ্গে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করেছি। পরিষ্কার, স্বচ্ছ কথা বলি, কখনও মিথ্যার আশ্রয় নেই না। নতুন ভোটাররা এইগুলো পছন্দ করেন।”