বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শেষে এক গবেষণায় তারা এই তথ্য পেয়েছেন।
ইলিশের প্রজনন বাড়াতে সরকারের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণা-পর্যবেক্ষণসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নদ-নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে আসছে কয়েক বছর ধরে। এর ফলস্বরূপ ইলিশের প্রজনন বাড়ছে বলে গবেষকরা জানাচ্ছেন।
তিনি বলেন, “ইলিশ সারা বছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। তবে আশ্বিন মাসের অমাবস্যা ও ভরা পূর্ণিমা কেন্দ্র করে মা ইলিশ প্রচুর ডিম পাড়ে। প্রজননের এই প্রধান সময়টাতে ইলিশ সাগর ছেড়ে মোহনা ও নদীর মিঠা পানিতে ছুটে আসে। ইলিশের ডিমের পরিপক্বতা ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে এবং পূর্বের গবেষণার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বছর ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের চলাচল এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশে ইলিশ উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদিত হয় ৩ দশমিক ৯৫ লাখ মেট্রিকটন। গবেষণা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ায় পরের বছর উৎপাদিত হয় ৪ দশমিক ৯৭ লাখ মেট্রিকটন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ দশমিক ১৭ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদিত হয় ৫ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিকটন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর এলাকার জেলে হাবিব ছৈয়াল বলেন, “অধিকাংশ ইলিশই ডিম ছেড়েছে। তবে এখনও অনেক ইলিশের পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে।”
ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরও কিছুদিন পর শুরু হলে বেশি ইলিশ ডিম ছাড়ার সুযোগ পেত বলে মনে করেন চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন এলাকার মাছ বিক্রেতা বিপ্লব মিয়া।