ভোলায় গৃহবধূকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ভোলার মনপুরায় এক গৃহবধূকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2021, 02:47 PM
Updated : 27 Oct 2021, 02:47 PM

রোববার রাতে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে এই গৃহবধূ মামলায় অভিযোগ করেন।

রক্তাক্ত ও হাত,পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলেন মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিন, মো. বেল্লাল মেকার, মো. হেলাল, মো. ইউসুফ দালাল ও মো. সেলিম মেকার।

মঙ্গলবার ভোর রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, রোববার রাতে চরগোয়ালিয়া গ্রামে বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন এই গৃহবধূ। রাত ১১টার দিকে নারী কণ্ঠে তার ওই গৃহবধূর নাম ধরে কেউ একাধিকবার ডাক দেয়।

তখন ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা ওই গৃহবধূর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে পাশের বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে চলে যায়।

এজাহারে বলা হয়, রাত ১টার দিকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সোমবার বিকেলে ভোলা জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার দিন ওই গৃহবধূর স্বামী সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। খবর শুনে সোমবার তিনি বাড়িতে আসেন এবং ওইদিন রাতে ওই নারী বাদী হয়ে মনপুরা থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তার আসামী মো. শিপন ওরফে আলাউদ্দিন (৩৫) উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে।

মনপুরা থানার ওসি সাইদ আহমেদ বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। অপর চার আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।