মঙ্গলবার জেলা শহর মাইজদীতে দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে কয়েকটি পূজামণ্ডপ এবং হিন্দুদের বাড়িঘরে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা-ভাংচুরের সময় ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ একজনের মৃত্যুর পরদিন পুকুর থেকে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় দায়ের করা ২৬ মামলায় জেলায় ২০১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯০ জন এজাহারভুক্ত এবং ১১১ জন সন্দেহভাজন আসামি। তাদের মধ্যে ছয় জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি সভাপতি এ জেড এম গোলাম হায়দার অভিযোগ করেন, “পূজামণ্ডপে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটানো হলেও সরকার প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে।”
বেগমগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য বরকত উল্লাহ বুলুকে হুকুমের আসামি করারও সমালোচনা করেন তিনি।
নোয়াখালীতে দলটির অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এখানে দলের নেতারা এই সাম্প্রাদায়িক হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতার আনার দাবি জানান।